ওয়েল্ডিং জোড় বা ওয়ে জয়েন্ট (Weld Joint)
দুটি ধাতব পদার্থকে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে ওয়েন্ড জয়েন্ট বলে। আর্ক ওয়েল্ডিং ও গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর মাধ্যমে সাধারণত পাঁচ প্রকার জোড়া দেওয়া যায়। যেমন-
১) এজ জয়েন্ট (Edge Joint )
২) কর্নার জয়েন্ট (Corner Jaint)
৩) টি জয়েন্ট (T-Joint)
৪) ল্যাপ জয়েন্ট (Lap Joint)
৫) এটি জয়েন্ট (Butt Jaint)
১) এজ জয়েন্ট (Edge Jaint )
দুটি ধাতব পাতকে একটার উপর আরেকটারে লাগিয়ে উভয়ের কিনারা বরাবর ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে এজ মায়েন্ট বলে।
২) কর্নার লরেন্ট (Corner Joint )
দুটি ধাতব পাতকে তাদের কিনারা একটার উপর আরেকটাকে ৯০° কোণে এক সাথে মিলিয়ে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে কর্নার জয়েন্ট বলে।
৩) টি-জয়েন্ট (T-Jolnt )
একটা ধাতব পাতকে অন্য আরেকটা ধাতব পাতের উপর খাড়াভাবে, দুই পাশেই ১০° কোণ করে বসিয়ে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে টি-জয়েন্ট বলে।
৪) ল্যাপ জয়েন্ট (Lap Joint)
একটা ধাতব পাতকে অন্য আরেকটা ধাতব পাতের উপর ওভারল্যাপিং (Over Lapping) করে বসিয়ে ওয়েল্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে ল্যাপ-জয়েন্ট বলে।
৫ ৰাট রেন্ট (Batt Joint)
একই সমতলে বসিয়ে দুটি বাস্তব পাতের কিনারা পাশাপশি লাগিয়ে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া লেওরা হয় তাকে বাট-জয়েন্ট বলে।
মার্ক ওয়েন্ডিং কার্যপদ্ধতি চিত্র :
বাট-জয়েন্ট করে প্রয়োজনে (আর্ক ওয়েল্ডিং এ) হেলমেট বা ওয়েন্ডিং কার্যপদ্ধতির ধাপগুলো নিম্নরূপ :
১. ওয়েস্তারকে কাজের উপযুক্ত পোশাক পরিধান হ্যান্ডশীল্ড ব্যবহার করতে হবে।
২. জবের উপর হতে জিল, তেল, মরিচা, বালি ইত্যাদি পরিষ্কার করতে হবে।
৩. লে-আউট অনুযায়ী প্রয়োজনে জনের পার্শ্বদেশ প্রস্তুত করাতে হবে।
৪. জবের গুরুত্ব জোড়ার ধরন এবং ইলেকট্রোডের পরিমাপের উপর নির্ভর করে কারেন্ট নির্ধারণ করতে হবে।
৫. আর্ক ওয়েল্ডিং এর জন্য জবের গুরুত্ব অনুযায়ী ইলেকট্রোড এবং গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ফিলার রঙ নির্বাচন করতে হবে।
৬. ধাতব দণ্ডকে সঠিক স্থানে রাখার জন্য এবং উত্তাপে জোড়া যাতে বাঁকা না হয় সেজন্য ভাবের দুই বা তিন স্থানে ট্যাক নামে ছোট ছোট ওরেঙ্ক করে নিতে হয়ে।
৭. আর্কের দৈর্ঘ্য ঠিক রেখে সঠিক কোণে ইলেকট্রোড ধরতে হবে এবং সঠিক গতিতে পরিচালনা করতে হবে।
৮.একটি রান টানার পর আরেকটি রান টানার পূর্বে প্রাগের আবরণ পরিষ্কার করতে হবে।